একজন স্কুল শিক্ষকের মাসিক বেতন ২৫/৩০ হাজার টাকা।আমি এর বিরোধীতা করছি বিষয়টি এমন না।কিন্তু এত বৈষম্য কেন হে ভাই?
দেখুন, একজন ঈমামের বেতন ২ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা।তাও আবার পাব্লিকের পকেট থেকে নেয়া।
এতিম খানা,হাফেজিয়া, ক্বওমী মাদরাসাগুলো এতটায় অবহেলিত যে,এক রকম ভিক্ষে করে চলতে হয়।
বিষয়টি অত্যন্ত বেদনা ও দুঃখের।সরকার আসে সরকার যায়,ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাগ্য বদলায় না।কিন্তু এ দায় কার?
নিশ্চয় এ দায় আমাদের আলেম সমাজের।এখানে দুটি কারণ উল্লেখ করা যেতে পারে।
[১] ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্বীনি শিক্ষার অভাব এবং দ্বীন শিক্ষার বিপরীতে হিংসা বিদ্বেষ শেখানো।
[২]ইসলামী রাজনীতিতে আলেম সমাজের অনুউপস্হিতি।
"রাষ্ট্রে দ্বীন প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে জীবন উদ্দেশ্য"-যদি এই শিক্ষায় শিক্ষার্থীদেরকে গড়ে তোলা হত তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে অন্ততঃ আলেম সমাজ আজ বিরোধী দলে থেকে সংসদ অলংকৃত করত।তাতে করে তারা তাদের ন্যায্য দাবি দাওয়াগুলো সংসদে তুলে ধরতে পারত।
মসজিদ ও ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অবহেলিত থাকত না।ঈমাম ও শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য বেতন পেত।দেশে ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি দাবিয়ে বেড়াতে পারত না।রাসুল(সঃ)-এর শানে বেয়াদবিপূর্ণ আচরণ করতে গেলে ইসলাম বিদ্বষী ও নাস্তিক্যবাদীদের ভয়ে বুক থর থর কেঁপে উঠত।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে,আলেম সমাজের
লোভ লালসা,ইসলামের নামে অনৈসলামিক শিক্ষার প্রচার প্রসারের মাধ্যমে ইসলামকে মসজিদে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে।
আলেম সমাজ কিভাবে ইসলামের নামে অনৈসলামিক শিক্ষার প্রচার প্রসার ঘটাচ্ছে সেই বিষয় নিয়ে হাজির হব পরবর্তী লেখায়,ইনশা আল্লাহ।সাথেই থাকুন।
---------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments