আমার দাদা উস্তায শায়খ
আহমাদ শফী (রহ);
বাংলাদেশে নাস্তিকতার উত্থানের বিরুদ্ধে একজনের ডাক দরকার ছিলো। একজনের ছাতার দরকার ছিলো, যার ছায়ায় অংশ নিতে পারে সারা মুসলিম জনতা। আওয়ামিলীগ হোক, কিংবা বি এন পি, জাতীয় পার্টি হোক, কিংবা জামাআতে ইসলামি, খেলাফত হোক কিংবা জামিয়ত। এমনকি যারা ছাত্রলীগে অথচ ইসলাম প্রিয়, ছাত্র ইউনিয়নে কিন্তু নবী (সা) প্রিয়, অথবা দ্বীন কায়িমকামী ছাত্র শিবির, বা ইসলাম প্রতিষ্ঠাকামী ছাত্র মজলিস। সবাই তার ছায়ায় যায়গা নিতে পারতো নাস্তিকতার বিপরীতে ঈমান বাঁচাতে। অথবা ধর্ম মানা হিন্দুরা, আল্লাহ বিশ্বাসী জাসদ বাসদ, গড বিশ্বাসী খৃস্টান রাও। সবাই মিলে নাস্তিকতা রুখতে একাট্টা হতে পারে।
একটা দাওয়াতের দরকার ছিলো, যার শব্দে হুংকার থাকবে। যার ডাকে সাড়া দিতে সবাই রাস্তায় নেমে পড়তে পারে। একটা শব্দ দরকার ছিলো, যার অর্থ হলো হিফাযাত, বাঁচাও, রক্ষা করো, বাংলাদেশের শার্দুলরা জেগে ওঠো।
আমার উস্তাযগণের উস্তায শায়খ আহমাদ শফীকে (রহ) আল্লাহ সেই সুরতে আমাদের কাছে নিয়ে এসে ছিলেন।
উনার নাম শুনে ভালো লাগতো, ওনার ভাঙ্গা বাংলায় বলা বক্তব্য ভালো লাগতো। উনার পাশে বসতে পারলে খুব ভালো লাগতো। তিনি ছিলেন এমন এক উল্কা পিন্ড, যার ঝলকে ৫ই মের চেতনা ছিলো। ঐটার জন্য আমি আজ তাঁর মৃত্যু ব্যাথায় চোখের পানিতে সিক্ত হচ্ছি। আল্লাহ আমাদের এই শার্দুলকে জান্নাত দিন।
তাঁকে ব্যবহার করা হয়েছে রাজনীতিতে, শিক্ষা ব্যবস্থায়, মাদ্রাসার নেতৃত্বে, কিংবা ফ্যমিলির বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সে জন্য আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন। আমি তাঁর পাশে যাওয়া মানুষ। আমার চোখে তাঁর অবদান অনেক, অনেক।
আল্লাহ তাঁকে ক্ষমার দরিয়ায় স্নান করিয়ে পবিত্র করে দিন। রাহমাতের চাদরে তাঁকে ঢেকে দিন। জান্নাতের উঁচু মাক্বাম তাঁর জন্য অবধারিত করে দিন। আমীন
----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ আলোচক ও দাঈ।
0 Comments