Recent Tube

মসজিদে এসি বিস্ফোরণ ও তার পোস্টমর্টেম? ইবনে যুবাইর।

   মসজিদে এসি বিস্ফোরণ ও তার পোস্টমর্টেম 

   প্রবাদ আছে, যুবকদের অহংকার শক্তি সামর্থ আর বৃদ্ধদের অহংকার সুবিবেচনা। যুব সমাজকে সুপথে চলিত করা জ্ঞানী গুণিদের প্রধাণ বৈশিষ্ট। 

   কোন জাতির জ্ঞানীদের যখন বুদ্ধিবৃত্তিক সংকট প্রকট হয়ে উঠে,যুব সমাজ তখন অশ্লিলতায় জড়িয়ে পড়ে-আর একটি  জাতির ধ্বংস কেবল তখনই অনিবার্য হয়ে পড়ে।

  এই সংকটে মুসলিম জাতি নিমিজ্জিত।কিভাবে আমরা এই  সংকটে নিমজ্জিত হলাম সেটায় হবে আজকের আলোচ্য বিষয়।
পাঠক,মুসলিম জাতির পতনের ইতিহাস যদি অধ্যায়ণ করেন তবে দেখতে পাবেন,জাতির আলেমরা যখন সাধারণ মুসলমানদের সুপথে চালিত করার পরিবর্তে  তারা নিজেরাই পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে,দুনিয়ার লোভ লালসায় বুঁদ হয়ে গেছে ,সংগ্রাম মুখর জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আরাম আয়েশী জীবন বেছে নিয়য়েছে  তখন একটি জাতী গোষ্ঠী পরাজয়ের গ্লানি বরণ করে অপমান অপদস্থ হয়েছে-এটায় পতনের সারসংক্ষেপ ইতিহাস। 

১৫০ ‘মডেল’ নিয়ে মালদ্বীপে সৌদি যুবরাজ।লিংকhttp://m.bdrtnn.net//newsdetail/detail/1/3/219241

     এই যৌন বিকারগ্রস্হ যুবরাজই হচ্ছে মাদখালিদের প্রধান দেবতা এবং এই দেবতার সমস্ত অপকর্ম ও বিকৃত যৌনাচারকে জায়েজ করা,প্রকৃত দ্বীনি আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের চরিত্রহননসহ এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে ফতুয়াবাজী করা,মুসলমানের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কাফিরদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলা মাদখালিদের প্রধানতম ইবাদত।

 ৷ এ দেশে মাদখালিদের প্রধান শায়খ হচ্ছে দরবেশ খ্যাত সালমান এফ রহমান-যিনি হাসিনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।পাঠক,এ কথা স্পষ্ট যে, এ দেশে মাদখালিদের হ্যান্ডেলিং করে হাসিনা নিজেই।

      তাবলিগের নিকট ইসরাইল থেকে অর্থ আসে এ কথা এর আগে লিখেছি।তাগলিগেে দেখভালের জন্য দায়িত্বে আছেন ফরিদ উদ্দীন মাসুদ।যিনি বেশ্যালয়ে গিয়ে বলেছিলেন এটি আমার জীবনের সেরা ইবাদত।

     দুটো পয়সার জন্য,একটা সনদের জন্য কিভাবে প্রতিনিয়তই হাসিনার পায়ে সিজদা করছে এক শ্রেণীর আলেম।এই হাসিনা প্রথমে ক্ষমতায় এসে  ক্বওমী মাদরাসাকে জঙ্গির আঁতুড় ঘর বলে বিশ্ব দরবারে প্রচার করেছিল।প্রতিবাদ করেছিলেন তৎকালীন আমীরে জামায়াত শহীদ মতিউর রহমান নিজামী।

      প্রতিটি মাজার চালিত হয় কাফিরদের অর্থ ও মদদে।তারাও নিজেদেরকে দাবি করে দ্বীনি কাফেলার সৈনিক বলে।এদের প্রত্যকের দলের নাম আলাদা আলাদা। কিন্তু গোড়া এক জায়গায়-কাফির মুশরিকদের হাতে।এরা জালেম মুশরিক শাসক ও কাফিরদের পদলেহন করে বেঁচে থাকে।এই হল মুসলমানদের অবস্হা।মুসলিমদের এ রকম একটি ভাঙ্গা বডি নিয়ে কার সাথে জিহাদ করবে? 

    মসজিদে এসি বিস্ফোরণ কোন বিছিন্ন ঘটনা নয়।এটি পূর্বপরিকল্পিত।হয়তো ভারতের সাথে দেশ বিরোধী কোন চুক্তি হচ্ছে অথবা দেশের অন্য কোন প্রধান ইস্যুকে আড়াল করতেই এই জটনার জন্ম হয়ে থাকবে।

    এই ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে যদি আমরা রাজপথে নামি তবে উল্লেখিত মৌলবীদের ফতুয়ার মেশিন ছালু হয়ে যাবে।তারা মুসলনমানদের ঈমানী জজবা ভোঁতা করার জন্য বলবে,পরিবেশ অশান্ত করা যাবে না,কেউ বলে রাজপথে মিছিল করা হারাম।কেন বলবে?কারণ,এটায় তাদের চাকরি,এ জন্যই তারা মাইনে পায়,হাদিয়া পায়।

    এই ঘটনা যদি কোন মন্দিরে হত তবে শহরে কোহর পড়ে যেত।মিডিয়াগুলো এক সাথে চেঁচিয়ে উঠত জঙ্গি জঙ্গি বলে।সমাজে প্রতিবাদী কন্ঠগুলো আসামী হত,গ্রেফতার হত,হত ক্রশফায়ার।
দেশে সাতান্নজন সেনা কর্মকর্তা হত্যার মধ্য দিয়ে গুম খুনকে জায়েজ করে নেয়া হয়।আওয়ামী লীগ লাঠিতন্ত্রে ও বোমাতন্ত্রে বিশ্বাসী। 
অতীতে রক্ষীবাহিনীর তান্ডব ও কলংকিত ইতিহাস আওয়ামী লীগের।এই আওয়ামী লীগ কখনো কোনদিন ইসলাম ও আলেম ওলামার বন্ধু ছিল না,আজও নেই।আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সিড়ি হচ্ছে ইসলাম ফোবিয়া তৈরি করে বিশ্ব প্রভুদের খুশি রাখা।

    যখন সিরিজ বোমা ফাটনোর দরকার হয় হাসিনা তখন বোমা গালিবদের স্বরণ করেন।লগি বৈঠার জন্য হাতুড়িলীগ আছে।এ দেশর প্রতিটি সেক্টরে ভারতের গোয়েন্দাবাহিনী "র" এর অবাধ বিচরণ।হাসিনা ভারতের পুতুল সরকার।
দেশে হত্যা গুম,ধর্ষণ, জঙ্গি খেলা,যত্রতত্র লাশের মিছিল, মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া,মসজিদে এসি বিস্ফোরণ সে দিনই বন্ধ হবে যে দিন ভারতের তাবেদার সরকারের পতন হবে।
আর এই জালেম সরকারের ক্ষমতার গণেশ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীর হাতকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নেই।কারণ,জামায়াতের নেতা কর্মীদের মাথা টাকায় বিক্রি হয়না।আর জালেম হটাও আন্দোলনের তীব্রতা জামায়াত ছাড়া সম্ভবও নয়।জামায়াতের এই ত্যাগ জাতি অনেকবার প্রত্যক্ষ করেছে।
------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments