লক্ষি জলে বিসর্জন দেয়ার জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে।
বড় বড় নীতি ও কর্মসূচির ফিরিস্তির চেয়ে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপই আসল কথা। লড়াই সংগ্রামে বিজয় নিশ্চিত হয় সঠিক রণধ্বনি ও সঠিক পদক্ষেপ দ্বারা।(কাল মার্কস)
দেশের সরকার বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো ধর্ষণের ইস্যুতে সরকার পতনের ডাক দিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার এটি একটি মোক্ষম সময় ছিল।
লক্ষি উল্টে দেয়ার দাবি এখন গণদাবি। লক্ষি জলে বিসর্জন দেয়ার জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে।
কিন্তু না,ধর্ষকদের মা লক্ষিকে ক্ষমতায় রেখে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে লক্ষির নিকট বিচার চেয়ে নিজ নিজ দলের পরিচয়ে বিছিন্নভাবে রাজপথে মিছিল,কেন?কোন ফায়দা নেই।
একথা নির্দিধায় বলা যেতে পারে ,এদেশে জামায়াত ছাড়া প্রতিটি দলের রাজনীতি উদ্দেশ্য ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের আখের গোছানো,জনকল্যাণমুখি নয়।যদি ক্ষমতায় জামায়াতের একমাত্র উদ্দেশ্য হত তবে সেই কতদিন আগেই দলটির বিলুপ্তি ঘটত।
রাজনৈতিক দলগুলো ও ছাত্র সংগঠনের ভুল রাজনীতি ও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারার কারণে স্বৈরাচারের ক্ষমতা দির্ঘায়িত হচ্ছে।
আজ অবদি আওয়ামী কোর্টে কোন ধর্ষিতা নারী ন্যায় বিচার পেয়েছে?না পায়নি।জনরোষ থেকে বাঁচাতে আওয়ামী ধর্ষকদের প্রথমে গ্রেফতার দেখনো হয়।
তারপর এক চিল্লা জেল হাজতে থেকে বুক টান করে ফুলের মালা গলায় দিয়ে বেরিয়ে আসে।সুবর্ণচরের সেই ধর্ষিতা গৃহবধূ-বিগত জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীর্ষে ভোট দেয়ার জন্য ধর্ষকরা যাকে ধর্ষণ করেছিল তারা আজ জামিনে মুক্ত।
ধর্ষকদের জননী লক্ষির নিকট ধর্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ, মানববন্ধন করা জনগণের সাথে এক ধরণের প্রতারণা বৈ কিছুই নয়।
কাল মার্কসের কথাগুলো আবার বলছি,'বড় বড় নীতি ও কর্মসূচির ফিরিস্তির চেয়ে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপই আসল কথা। লড়াই সংগ্রামে বিজয় নিশ্চিত হয় সঠিক রণধ্বনি ও সঠিক পদক্ষেপ দ্বারা।'
---------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments