Recent Tube

বিশুদ্ধ সালামের ট্রেনিং কি শুধু জামায়াত ইসলামী দেয়? নাহ। কুতুব শাহ।

বিশুদ্ধ সালামের ট্রেনিং কি শুধু জামায়াত ইসলামী দেয়? নাহ।

 কিন্তু রাম, বাম, স্যাকুলারেরা ধর্ম চর্চায়, ধর্মীয় প্রভাব বিস্তারে জামায়াত, শিবিরকে মূল শক্তি হিসাবে ধরে। সে কারণেই তাদের কাছে আতঙ্ক মানেই জামায়াত, শিবির! ইসলামী, তাহজীব, তামাদ্দুন, শিল্প, সংস্কৃতি, কালচার বিস্তারে তারা জামায়াতকে অগ্রগামী মনে করে! রাজনীতি, অর্থনীতি, বিচার ব্যাবস্থা, সামাজিক রীতিনীতিতে ধর্মের অনুসরণ, প্রভাব বিস্তারে তারা জামায়াতকে মূল সংগঠন মনে করে। তাই তাদের মূল টার্গেট জামায়াত। প্রফেসর জিয়া তো অজ্ঞ নয়, ধর্মের জ্ঞান না থাকুক কিন্তু তার নিজ সেক্টরে অভিজ্ঞ বলেই তো ঢাবি শিক্ষক - তাইনা? তার স্ট্যাডি, গবেষণায় এই দেশে সর্বত্র ধর্মীয় প্রভাব বিস্তারে তারা জামায়তকে গোনায় ধরে মাত্র। তাই মুরগী গং থেকে শুরু করে যত স্যাকুলার তারা জামায়াতকে টেনে আঘাত করে। জামায়াত, শিবিরকে আঘাত মানে পরোক্ষভাবে ধর্মীয় প্রভাব বিস্তারকারীদের মৌলিক জায়গায় আঘাত। তাদের হিসাব পাক্কা তা আপনি বুঝেন বা না বুঝেন।

ডঃ আসিফ নজরুলের একটা বক্তব্য খেয়াল করেন। তিনি বলেছিলেন, ঢাবিতে ফজরের নামাজ পড়তে যারা মসজীদে যায় তাদের শিবির চিহ্নিত করা হয়। মানেটা কি? খুব ক্লীয়ার ঢাবিতে চাঁদাবাজি, মস্তানি, চুরি, ধর্ষণ, মাদক সেবন করলে শিবির নয় কিন্তু মসজীদে গেলেই শিবির! অন্যরা কি নামাজ পড়েন না? অবশ্য পড়েন। কিন্তু নামাজী, মসজীদগামী হিসাবে তারা শুধু শিবিরকে চিনেন। শিবিরই তাদের আতঙ্ক, শিবিরের মাঝেই তারা ধর্মের রুপ দেখে!

শিবিরের দোষ কি নাই? অবশ্য শিবিরে দোষ আছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত পশ্চিমা দেশের মত উম্মুক্ত চুমাচুমি, প্রেম প্রীত, নারী পুরুষের মেলামেশা পছন্দ করেনা! তারা পর্দার কথা বলে, দুইজনের সম্মতিতে ছাত্রছাত্রীদের মিলনকে অবৈধ বলে। এসব তো মেনে নেয়া যায়না। ছেলেরা নামাজ পড়বে, শুদ্ধ উচ্চারণে সালাম দিবে এইগুলা আফগান, পাকিস্তান, তুরস্কের সংস্কৃতি। পৃথিবী এগিয়ে চলছে মধ্যযুগের অন্ধকার শেষ। আজ দেশে জামায়াত শিবিরেরা ময়মনসিং তিন আসনের এম্পি নাজিমুদ্দিনের  ৮ মিনিট নিয়ে সমালোচনা করছে! এটা কি মেনে নেয়া যায়? একজন প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা শেষ বয়সে মনোরঞ্জন করছে তা কি দোষের? অতচ, জামায়াত, শিবির বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিমুদ্দিনের দেশপ্রেম দেখেনি কিন্তু আট মিনিটের ভিডিও দেখে বিচার চাইছে! এমন জামায়াত, শিবির দেশে থাকলে চেতনা চর্চা বাঁধাগ্রস্ত হবে। যা আমরা মেনে নিতে পারিনা।

আ'লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে শিবিরের অধীনে থাকা অনেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়কে মিনি মাদ্রাসা বানিয়ে ফেলেছিল। সেখানে জামায়াতে নামাজ, ফজরের পর তেলাওয়াতের গুঞ্জন শুনা যেত। তা তো মেনে নেয়া যায়না। এখন দেশপ্রেমিক ছাত্রলীগ তা দখলে নেয়ার পর  এমসি কলেজের মত চেতনা চর্চা হচ্ছে। এর জন্য কি কখনো ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ দিয়েছেন? দেন নাই, অকৃতজ্ঞ!
-------------------------------------------------------------- 
লেখকঃ  ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments