Recent Tube

বুঝলে প্রগতিশীল? --- কুতুব শাহ।

অন্য ধর্মের উৎসবে যাওয়াকে কথিত প্রগতিশীলেরা ধর্মীয় সম্প্রীতি বলে! উৎসব সবার বলতে চায়! তারা কি আসলে সম্প্রীতি বুঝে? নাকি সম্প্রীতির নামে বিপথে নিয়ে বিপদে ফেলতে চায় সে আলোচনা পরে৷ আগে কয়েকটা বিষয় খেয়াল করেন....।

 ধরেন, ১৫ই আগষ্ট বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম উৎসবের আয়োজন করেছে বিএনপি। সেখানে যদি হাসান মাহমুদ বা ওবায়দুল কাদের যায় তখন কি আ'লীগ মেনে নিবে? দলীয় পদ থাকবে? 

বিপরীতে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় ১৫ই আগস্ট  বঙ্গবন্ধুর শোক দিবসে আ'লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে যদি মির্জা ফখরুল যায় তখন কি বিএনপি মেনে নিবে?

উল্লেখিত উদাহরণ জাস্ট বুঝার জন্য সেম্পল মাত্র। এই দেশ গণতান্ত্রিক হিসাবে পরিচিত। অনুষ্ঠান, উৎসব সবার অধিকার। তবু এক পক্ষের অনুষ্ঠানে অন্যপক্ষ যেতে বাধানিষেধ আছে! তাইনা? তাহলে সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মীয়দের উৎসবে অন্যদের যাওয়া কিভাবে সম্প্রীতি? 

হ্যাঁ, সম্প্রীতি  হল, তাদের উৎসবে বাঁধা না দেয়া, নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব করতে দেয়া, সরকার এবং জনপ্রতিনিধিরা নিরাপত্তা দেয়া। যেমন, দেশের সর্ববৃহৎ কওমী হাটহাজারী মাদ্রাসার পাশে মন্দির আছে সেখানে পূজা হয়, উৎসব হয় কিন্তু হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে কখনো বাঁধা দেয়া হয়নি বরং প্রয়োজন হলে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা তাদের মন্দির পাহারা দেয়ার রেকর্ড আছে। এর নামই সম্প্রীতি। 

মুসলীমেরা কেন অন্য ধর্মের উৎসবে যেতে নিষেধ? আমাদের সাথে তাদের ধর্মের বৈপরীত্ব আছে। আমরা এক আল্লাহকে বিশ্বাস করি যেটার নাম তাওহীদ। ঠিক বিপরীত হল পৌত্তলিকতা। আমার আক্বীদা বিশ্বাসের উল্টো কাজ যে উৎসবে করা হয় তাতে শরীক হওয়া কোনভাবে যৌক্তিক বা সম্প্রীতি হতে পারেনা। হ্যাঁ, তাদের ধর্ম তারা নিজদের মত পালনে আপত্তি নাই। 

মুসলীমদের পথ বা রাস্তা হল, সিরাতুল মুস্তাকীম। আর অন্য ধর্মের পথের নাম ভিন্ন। রেল পথ দিয়ে যেমন বাস চলেনা তেমন বাসের পথ দিয়ে রেল চলতে পারেনা। কারণ, দুটোর পথ আলাদা। অনুরুপ, প্রত্যেক ধর্মের পথ আলাদা, উৎসব আলাদা। একে অন্যের পথে গেলে নিশ্চিত এক্সিডেন্ট। তাই যার পথে তাকে চলতে দেয়াই নিরাপদ।
বুঝলে প্রগতিশীল?

Post a Comment

0 Comments