Recent Tube

হাফিজুর বয়াতি যখন গোটা কৌমি জগতের মুখপাত্র; ইবনে যুবাইর।

হাফিজুর বয়াতি যখন গোটা কৌমি জগতের মুখপাত্র?

ভাস্কর্য ইস্যুটা শিথিল হলে আর কোন ইস্যু নেই।কিন্তু তাতে কি হবে।ইস্যু তো থরে থরে সাজানো আগে থেকেই। 
বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয় ।উদ্দেশ্য ছিল মৌলবাদীদের উপর দায় চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা এবং মৌলবাদীদের জঙ্গি বলে প্রচার করা।কিন্তু ভাগ্যক্রমে দেখা যায় বাঘা যতীনের মূর্তি ভাংচুরে সরকার দলের লোকজনকে জড়িত থাকতে।

শেখ মজিবের মূর্তি ভাংচুর করতে আসা পায়জামা জু্ব্বা পরিহিত দু'জন লোককে সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়,তাদের আসা ও যাওয়ার দৃশ্য এবং মৃর্তি ভাংচুরের জন্য মই বেয়ে উপরে উঠার দৃশ্য লক্ষ্য করুন,দেখতে পাবেন,তাদের চোখে মুখে কোন ভয়ের চিন্থ নেই,মনে উদ্বেগ উৎকন্ঠা নেই,খুব স্বাভাবিক নিয়মে হেঁটে এল এবং কাজ শেষ করে নিরুদ্বেগ স্বাভাবিক নিয়মে চলে গেল।এরকম চোর কখনো দেখেছেন?ডাকাত ডাকাতি করার সময়, চোর চুরি করার সময় তাদের আচরণ স্বাভাবিক থাকে না,চোখে মুখে থাকে ভয়ের চিন্থ,উদ্বেগ উৎকন্ঠা থাকে,থাকে ভয়াতুর দৃষ্টি।কিন্তু ওদের মাঝে এসবের লেশ মাত্র ছিল না।কেন? নিজেকে প্রশ্ন করন?কি পেলেন?

সকালে গ্রেফতার হল এক মাদরাসার দুই জন ছাত্র ও দুই শিক্ষক।দায় চাপলো মৌলাবাদীদের উপর।বিশ্বজুড়ে নিউজ হল ইসলামী মৌলবাদী বাংলাদেশে আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।

যতীনের মূর্তি ভাংচুর ইস্যুতে মৌলবাদীদের হাত পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিলেন  কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত।দেশে থাকলে মৌলবাদীদের  হয় নীরব থাকতে হবে,আর না হয় পেয়ারে পাকিস্তান চলে হবে বলে পরিস্কার ঘোষণা এসপি আরাফাতের।এ যেন প্রজান্ত্রের চাকরই নয়।এই উদ্ধতপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার কারণ কি?
উদ্দেশ্য এটায় যে, প্রতিবাদে মৌলবাদীদের আবার রাস্তায় নামানো।আলিমদেকে এদের কুটচাল বুঝতে হবে এবং কৌশলি ভূমিকা অবলম্বন করে সামনে এগোতে হবে।

হাফিজুর বয়াতিকে আবার মাঠে নামিছেন হাসিনা।ড এনায়ে তুল্লাহ আব্বাসীকে নিয়ে শুরু হয়েছে তার বিষাদগার।শুনেছি,আব্বাসী অসুস্হ।তিনি নাকি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন।অথচ,এই সময়ে আব্বাসীকে কৌমিদের শত্রু বলে ঘোষণা দিলেন হাফিজুর বয়াতি।আব্বাসীকে মহান আল্লাহ সুস্হতা দান করুন।
কৌমি আলিমদের নিকট আমাদের প্রশ্ন হল,হাফিজুর বয়াতি কি গোটা কৌমি জগতের মুখপাত্র?তার কথায় কি শেষ কথা?তার কথায় কি কৌমি জগতের কথা?যদি সেটায় না হবে তাহলে হাফিজুরের এই নোংরামির প্রতিবাদ হয় না,হচ্ছে না কেন?তাকে বয়কট করা হচ্ছে না,হবে না কেন?এর অন্তনিহীত কারণ কৌমির বিশিষ্ট আলিমদের থেকে জাতি জানতে চায়?
আর যদি কোন প্রতিক্রিয়া আমরা দেখতে না পাই তবে এ কথা পরিস্কার হবে যে,হাফিজুরকে দিয়ে কৌমি আলিমরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।জাতির বিভক্তির মূল ভূমিকা তাদেরই।

Post a Comment

0 Comments