বড় ভাই পীর চোরমোনই থাকতে মামুনুল হককে এই দুর্দিন দেখতে হবে তা তিনি কখনো ভাবেননি।
শেষ অবদি আকাবির হত্যার দায় এসে বর্তাল মামুনুল হকদের উপর।
মামলা আইনিভাবে মোকাবেলা করা এবং মানহানির মামলার কথা ভাবছেন তিনি। কিন্তু আইন কি তাদের জন্য সদয় হবে?
৩ মাইল দূরে থেকে দেখা সাক্ষীর সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি হয় আওয়ামী ট্রাইবুনালে।এতে খুশি হয়ে বয়াতি হাফিজুর রহমান বদনা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।জামায়াত নেতাদের ফাঁসিতে মামুনুল হকরা অখুশি হয়েছেন এমন কোন আলামত আমরা দেখিনি।
মামুনুৃল হকদের ভাবনা ছিল জামায়াত শূণ্য ময়দানে তারা একা খেলবেন।তাই জামায়াতের নির্বংশ হওয়া ছিল তাদের নিকট অত্যন্ত জরুরী। ইসলাম পিয়াসু মানুষগুলো যখন আল্লামা সাঈদীর শূণ্যতা প্রবলভাবে অনুভব করছিল,সাপ বেজির কেচ্ছা কাহিনীকে যখন ইসলামের বাণী বলে হাফিজুল বয়াতিরা সাধারণ মুসলমানদের গলদকরণ করে তাদেরকে পথভ্রষ্টের মিশন নিয়ে সারা বাংলাদেষ দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল ঠিক তখন মিজানুর রহমান আজহারি ময়দানে এসে হাজির হোন। যুব সমাজকে তিনি আকৃষ্ট করেন। যুবকরা গান, বাজনা,যাত্রা থিয়েটার, নেশার জগৎ ছেড়ে কুরআনের ডাকে সাড়া দেয়। কিন্তু না,তা আর হতে দেয়া হল না। হিংসার দাবানল জ্বলে উঠল কঠিন ভয়ঙ্করভাবে।
জামায়াত ট্যাগ লাগিয়ে তাকেও দেশ ছাড়া করা হল।
মামুনুৃল হক,জননীকে দিয়ে যে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জামায়াত নেতাদের ফাঁসিতে চড়ালেন,আজহারিকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করলেন, রাজ্যজুড়ে সেই আওয়ামী আদালত এখনো দন্ডায়মান। আজ সেই আপনারা পরিকল্পিত হত্যার মামলার আসামী।
আইনি লড়ায়ে এই মামলায় পার পেয়ে যাবেন এমন সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ।
হেফাজতে ইসলামকে হাসিনার হেফাজতে ব্যবহার করার জন্যই বড় ভাই পীর ও ফরিদ মাসুদদদের দিয়ে জননী এই মামলা করিয়েছেন। দুই দিন আগে আমি লিখেছিলাম,হেফাজতে ইসলাম তাদের নিজ আদর্শে টিকে থাকবে নাকি পীর চোরমোনাই এর অধীনে চলে যাবে সেটায় দেখার বিষয়। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। জননী ও বড় ভাই পীরকে যদি খুশি না করা যায় তবে আইনি লড়ায়ের গল্প ফেঁদে কোন লাভ হবে না।
---------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments