Recent Tube

হাদিসের ভাষ্যনুযায়ী ইসলাম ধবংস করবে পথভ্রষ্ঠ আলিমগণ। ইবনে যুবাইর।

 হাদিসের ভাষ্যনুযায়ী ইসলাম ধবংস করবে পথভ্রষ্ঠ আলিমগণ।


কোটায় যারা মুফতি ডিগ্রী লাভ করেছে,মাওলানা,শায়খ উপাধিতে ভূষিত হয়েছে তারা উম্মাহর জন্য ভয়ঙ্কর ফিৎনা।

নাস্তিক্যবাদী শাহরিয়ার কবিরসহ ইসলাম বিদ্বেষী যত শক্তি আছে তারা ইসলামের প্রকাশ্য দুশমন।তারা ইসলামের বিরোধীতাকারি,তারা ইসলামী প্রবক্তা নয় বিধায় ইসলামের ব্যাপারে তাদের কোন কথা সাধারণ মুসলমান গ্রহণ করে না, করবে না।আর তাই তাদের কথায় কোন মুসলিম বিভ্রান্তও হয় না, হবে না।
মুসলিম উম্মাহকে বিভ্রান্ত করতে মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কোটাধারী এক শ্রেণীর কথিত আলিম।

এই কোটাধারী কথিত আলিমদের পিছনে রয়েছে বিশ্বের সুপার পাওয়ার কাফির দেশগুলো এবং মুসলিম দেশের ইসলাম বিদ্বেষী জালিম শাসকরা।এরা তাদের বেতনভুক্ত কর্মচারী।খুব মোটা অংকের অর্থে এই কোটাধারী কথিত আলিমদের মাথাগুলো তারা ক্রয় করে রেখেছে।

কথিত আলিমরা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে প্রথমে সাধারণ মুসলমানদের মগজ ধোলাই করে মুসলিম সামজে বিভাজন তৈরি করে। আমরা আমাদের জন্যই বড় উদাহারণ হতে পারি।

এদেশে অগনিত মাজার,খানকা গড়ে উঠেছে।প্রতিটি খানকা মাজারের কোটাধারী মুফতি আছে,আছে মাওলানা।এই মুফতিরা ইসলামের নামে অদ্ভূদ রকম কেচ্ছাকাহিনী বলে শ্রোতাদের মগজ ধোলাই এর কাজে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে,প্রতিদিন পথহারা হচ্ছে অগনিত সাধারণ মুসলিম সন্তান।যারা এক বার সেই অন্ধকার গর্তে ঢুকে পড়ে তারা আর কখনো আলোর মুখ দেখে না।

অন্ধকার গর্তের লোকগুলো তখন হয়ে যায় গৃহপালিত পশুর মত।মালিক যেদিকে তাদের আহ্বান জানায় সেদিকে তারা দৌড়ে চলে। তাদের নিকট আকাবিরের কথায় হয়ে যায় ইসলাম,আর প্রকৃত ইসলাম হয়ে যায় অচেনা কোন ধর্মের কাহিনী।

তারপর এই পশুগুলো দিন দিন হয়ে উঠে বন্য জানুয়ারের মত হিংস্র।প্রকৃত আলিমদেরকে করে এরা বিভিন্নভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য,নোংরা ভাষায় করে আক্রমন।সুযোগ পেলে কপাল ফাটিয়ে দিতে ছাড়বে না।

সব চেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো,কথিত আলিমগুলো তৈরি হয় কৌমি কোটা থেকে।৯৮% মাজার খানকার মালিক হচ্ছে এই সব কোটাধারী মুফতিগণ।আরও বেশি পরিতাপের বিষয় যে,কৌমি অঙ্গনে অনেক হকপন্হী আলিম আছেন,কিন্তু কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তারা এই ভন্ড মুফতি,ভন্ড আলিমদের ব্যাপারে কোন এক অদৃশ্য কারণে মুখ খোলেন না।হয়তো স্বজাতি প্রেম ভন্ডদের ব্যাপারে তাদেরকে মুখ খোলতে বাধা দেয়,বোবা বধির বানিয়ে রেখেছে।

প্রকৃত আলিমদের নীরবতায় মুসলিম উম্মাহর ঈমান নিয়ে বেঁচে থাকা পড়েছে আজ বড় চ্যালেঞ্জের মুখে।আগামীর পৃথিবীকে ইসলামশূণ্য একটি  প্রজন্ম উপহার দিতে পথভ্রষ্ট আলিমরা যখন ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে,শুয়ারের খামারের মত অংখ্য মাজার,খানকা গড়ে তুলছে,তখন প্রকৃত আলিমদের নীরব থাকা কোনভাবেই কাম্য নয়।
আগামী প্রজন্মের কথা ভেবে,আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতার কথা চিন্তা করে মূলধারার আলিমদের মুখখ খোলা আজ অতীব জরুরী।

জীবনে ভয় আর কত করবেন,আর কত নীরব থাকবেন,জীবন একটায়,মরবেনও একবার,জীবন মৃত্যুর মালিক যেহেত আপনি নন,সেহেতু যার দেয়া জীবন তার পথে যদি বিলিয়ে দিতে পারেন তবে এর চেয়ে সৌভাগ্যের মৃত্যু আর কি হতে পারে?

ইসলামের বিরত্বগাথা গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস মুসলমানদেরকে কাপূরুষ হতে শেখায় না।কাপূরুষ যে-সেই তো মুনাফিক।

জেগে উঠুন মুসলমান!আপনি আমি জেগে উঠলেই ভোর সুনিশ্চিত।আমরা যদি জেগে উঠতে পারি,সমস্বরে একবার আল্লাহু আকবার বলে আওয়াজ তুলতে পারি,তবে বাতিল খড়কুটোর উড়ে যাবে।

Post a Comment

0 Comments