Recent Tube

আযহারীকে অভিনন্দন, শুভকামনা। আল্লাহ তাকে দ্বীনের জন্য দাঈয়ী হিসাবে কবুল করুন। কুতুব শাহ।


 আযহারীকে অভিনন্দন, শুভকামনা। আল্লাহ তাকে দ্বীনের জন্য দাঈয়ী হিসাবে কবুল করুন।

  খুব স্বল্প সময়ে অল্প দিনে ইউটিউবে এক মিলিয়ন ফলোয়ার। এটা চরম বিস্ময়কর, অসাধারণ এক মাইন ফলক, নতুন রেকর্ড। তিনি বলেছিলেন, মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠ্যাকাতে পারেনা। তা বাস্তব প্রমাণিত হল। চারদিক থেকে প্রচণ্ড হিংসার তীর এসেছে তার দিকে কিন্তু তিনি হিংসার ভাষায় জবাব দেয় নাই, ধৈর্য ধরেছেন, দাওয়াতী মেজাজের পরিচয় দিয়েছেন, চরম সহিষ্ণু উদার থেকেছেন, আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছেন। এটা বেস্ট কোয়ালিটি। তার এই প্রশংসনীয় কোয়ালিটি জনপ্রিয়তায় সহায়ক হয়েছে। 

    আযহারী ভুলের উর্ধ্বে? নাহ, কখনো ভুলের উর্ধ্বে নয়। শুরুর দিকে তার কিছু শব্দ চয়নে ভুল আছে, বয়ানে ম্যাসিউরিটির অভাব ছিল, হিন্দি গানের ইসলামী ভার্সন সুর মাহফিলের জন্য বেমানান ছিল! ধীরেধীরে তা শোধরানোর চেষ্টা করছে। প্রাসঙ্গিক কিছু সমালোচনার জবাব দিয়েছেন, ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তার অবস্থান পরিস্কার করেছেন, ভুল প্রমাণিত হলে স্বীকার করেছেন কিন্তু সমালোচকদের পাল্টা আক্রমণ করেন নাই। এটাই বড় গুণের পরিচয়।

     সমালোচকেরা কি তার প্রতি ইনসাফ করেছেন? ফিকহী বিষয়ে সমালোচনার ক্ষেত্রে ফোকাহদের নীতি অনুসরণ করেছেন? নাহ, মোটেই নয়। ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর সাথে ইমাম শাফেঈয়ী (রহঃ) এর অনেক ইখতেলাফ, মতভেদ আছে। একবার ইমাম শাফেঈয়ী (রহঃ) ইমামে আযমের কবর যিয়ারত করতে গেলে তিনি ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর ফিকহী মত অনুসারে নামাজ আদায় করেন। এর মানে, তিনি বুঝিয়েছেন তাদের ইখতেলাফ ইজতেহাদী। কিন্তু বিদ্বেষ নাই। এটাই একজন যুগ শ্রেষ্ঠ ফকীহের প্রতি অন্য ফকীহের শ্রদ্বা, সম্মান। এখান থেকে আমরা কি শিক্ষা নিয়েছি? আমাদের দেশে কিছু আলেম  ক্ষেত্র বিশেষে সতীনের মত আচরণ করে যা দেখতে দৃষ্টিকটু এবং সাধারণ পাব্লিকের কাছে চরম বিব্রতকর। এছাড়া সমালোচনায় ইলমী হেয়ানত করে, না ইনসাফ করে, স্পষ্ট হিংসা প্রকাশ হয় এমন আচরণ করে যা হক্বানী আলেমের লক্ষণ নয়, দাঈয়ীর বৈশিষ্ট্য নয়, তাক্বওয়ার পরিপন্থী। তাহলে কিসের আলেম? 

     আমি এমন বক্তব্যও শুনেছি, স্ট্যাটাস দেখেছি আযহারীর মাহফিলে ভাড়ায় লোক নেয়া হয়, দলীয় লোকদের জড়ো করা হয়! কী হাস্যকর! কী উদ্ভট চিন্তা দর্শন! এখন আবার বলতে শুরু করেছে ইউটিউবে জনপ্রিয়তা দিয়ে কী আসে যায়! হক্বের পক্ষে লোক কম থাকে🤣 দারুন যুক্তি না? মাহফিলে সব একটা নির্দিষ্ট দলের লোক, ইউটিউবে সব সাবস্ক্রাইবার একটা নির্দিষ্ট দলের এই থিওরী ৭১টিভিতে মানায় মাত্র! কোন দলের নেতা কর্মীদের মুখে এই টাইপের সস্তা  বুলি চূড়ান্ত অজ্ঞতা, স্পষ্ট প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।

     এখন কেউ এসে আমাকে আযহারীর অন্ধভক্ত বলে ঢিল ছুড়তে পারে! এটাই মূর্খদের সায়েন্স! আযহারীদের অপ্রাসঙ্গিক সমালোচনা না করে আযহারীদের কাজে লাগান, নতুন নতুন আযহারী গড়ার চেষ্টা করেন তখন তারা আগামী প্রজন্মের মনে ইসলামী চেতনা, মানসীকতা তৈরীতে ভূমিকা রাখতে পারবে যা সবার জন্য সুখকর।
------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments