Recent Tube

এনালাইসিস, সাবিনা আহমেদ।

    


                    এনালাইসিস।




       সবাই জানি কিভাবে পশ্চিমা নিউজ মিডিয়া প্রো-ইসরায়েলি বায়াসড খবর প্রকাশ করে, কিভাবে ফিলিস্তিনিদের সাফারিং কে ডীসেনসিটিভাইজ করে। গাজা না বলে বলবে হামাস কন্ট্রোল্ড গাজা বলে। গাজার হেলথ মিনিস্ট্রি না বলে বলে হামাস কন্ট্রোল্ড গাজার হেলথ মিনস্ট্রি থেকে মৃতের সংখ্যা পাওয়া গেছে বলে খবর  প্রকাশ করে। । আর হামাসের পরিচয় হচ্ছে 'ইউএস ডেজিগনেটেড টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশান।" ভাবখানা দেখায় গাজায় যাই হচ্ছে তা হামাসের টেরোরিজমের জন্য হচ্ছে। নাতানিয়াহু আক্রমণ করার জন্য নিজেই প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয়  চাল চালে, কিন্তু তার জন্য হামাসকে দায়ী করে। ডিফ্যাক্টো প্রমান করতে চায় গাজাবাসীরা সবাই টেরোরিস্ট কারন তারা গাজায় হামাসকে নির্বাচনে জয়ী করেছে। ইসরায়েলের কারনে আসন্ন যেই নির্বাচন পিছিয়ে গেছে  সেখানেও  বিপুল ভোটে হামাসের  জয়ী হওয়ার কথা ছিল। 

 
      সোশ্যাল মিডিয়াতেও ফিলিস্তিনি এক্টিভিস্টদের একাউন্ট কড়া নজরদারীতে, আবার কারো কারো ইতিমধ্যে ডিএক্টিভেট করে দিয়েছে। তাদের দেয়া কন্টেন্ট সরিয়ে ফেলেছে। এসবের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার যে এলগরিদম, সেখানে কিছু মুল শব্দকে তারা ডিটেক্ট করে পোস্টদাতাকে হুশিয়ারী পাঠাচ্ছে, আর পরপর কয়েকবার হুশিয়ারী গেলে একাউন্ট বাজেয়াপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ইন্সটাগ্রাম থেকে শুরু করে ফেইসবুকে এমন নৈরাজ্য চলছে। 
 
  
       এর থেকে উত্তরনের জন্য এরাবিক রাইটিং এক্টিভিস্টেরা পুরাতন এক পদ্ধতি গ্রহন করেছে, ১৫০০ বছরের পুরাতন পদ্ধতি। তারা  কুরআনিক আরবিতে এখন পোস্ট লিখছে, যা ডে-টু-ডে এরাবিক নয়। এলফাবেটের উপর নীচে কোন ডট ব্যবহার করছে না।  একে ডিটেক্ট করার এলগরিদম সোশ্যাল মিডিয়া এখনও ইমপ্লিমেন্ট করে নাই। 
 
  
     পর পর অনেকগুলো পরিবারের সকল সদস্য ইসরায়েলি বোমা হামলায় একই সাথে নিহত হওয়ার পর তারা শহরের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন পরিবারের সাথে বাচ্চা বদলাবদলি করছে। যাতে বোমার আঘাতে সবাই একই সাথে নিশ্চিহ্ন হয়ে না যায়। 
 
  
      গাজাবাসীরা কতটা অসহায় হয়ে পড়েছে তা না ভিতরের ডিটেইলস খবর না জানলে নিজেদের খবর মিডিয়া থেকে জানার কোন উপায় নাই। এরজন্য অবশ্য আমরা সোশাল মিডিয়া আর সেল ফোনকে ধন্যবাদ দিতেই পারি।
 
 
       আজ আবার বাইডেন সরকার নাতানিয়াহুকে সিরিয়াস ডিএস্কিলেশানের জন্য আহবান করেছে। জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল যুদ্ধ থামানোর জন্য রেজ্যুলুশান আনতে জানছে সহসা। এই রেজ্যুলুশানের উদ্যোক্তা ফ্রান্স আর মিসর। আমেরিকা ভেটো না দিলে এটা পাশ হয়ে যাবে। আর ভেটো দিলে বাইডেনের ফরেইন পলিসির ক্রেডেনশিয়াল বিশ্ব মঞ্চে সিরিয়াস ভাবে ড্যামেজড হবে। তাই বাইডেন সিরিয়াসলি চাচ্ছে ইসরায়েল এবার থামুক। 
 
 
      এই পুরা ডিপ্লোম্যাসিতে দুই জন লিডারের সাথে কেউ আর কোন দেশ যোগাযোগ করছে না। বিশেষ করে সেসব দেশ যারা এখন ফিলিস্তিন আর ইসরায়েলের মাঝে মধ্যস্ততা করছে। এই দুই নেতা হলেন ফিলিস্তিন অথোরিটির মাহমুদ আব্বাস আর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। 


        যদিও ফিলিস্তিন অথোরিটির শাসনাধীন ওয়েস্ট ব্যাংকের অন্যান্য শহরে গাজাবাসীর পক্ষে বিক্ষোভ হচ্ছে, কিন্তু তা নিয়ে কারো কোন মাথাব্যাথা নাই। আর বাইডেনের সাথে এরদোয়ানের সিরিয়াস ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। ওবামার আমলে বাইডেনের দায়িত্ব ছিল তুরস্ককে হ্যান্ডেল করার, আর সেই সময় এরদোয়ানের সাথে বাইডেনের বেশ কিছু বিবাদ হয়েছে। আমার ধারনা বাইডেন টুক ইট পার্সোনালি, আর তার জের ধরেই বাইডেন এখন তুরস্ককে হেয়ো করার  কোন চান্স মিস করে না। বাইডেন আমেরিকান ইমিগ্র্যান্ট  জামাল খাশোগজির হত্যার হুমকিদাতা এমবিএস কে হলুদ কার্ড দিয়ে আমেরিকার ফরেইন পলিসির মাঠে রেখেছে, কিন্তু এরদোয়ান লাল কার্ড পেয়ে এখনও আমেরিকার ফরেইন পলিসির   মাঠের বাইরে।


     কিন্তু তাই বলে এরদোয়ান আমি খেলব না বলে মাঠের বাইরে বসে নেই। এরদোয়ান জাতিসংঘের গেনারেল এসেম্বলির সদস্য দেশগুলর সাথে ডেপ্লোম্যাটিক এফোর্ট জরদার করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে আগাচ্ছে। এতে যা হবে তা হলো ইসরায়েলের হামলা থামার পর তুরস্ক সহ অন্যান্য রাষ্ট্র গাজাবাসীদের সাহাজ্যে এগিয়ে আসবে যাতে ইসরায়েল পুরাপুরি বাধা দিতে পারবে না। ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়ে উঠবে, আহত গাজাবাসী চিকিৎসার জন্য তুরস্কে যেতে পারবে। বিদ্যুত-বিশুদ্ধ পানি-ক্রিটিক্যাল ওষুধ গাজায় ঢুকবে।
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments