Recent Tube

আকিদা মুসলিমদের জন্য একদিক দিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ আবার অন্যদিক থেকে আকিদাগত ডিবেটগুলা হাইলি পলিটিকালি ইনফ্লুয়েন্সড। কুতুব শাহ।



আকিদা মুসলিমদের জন্য একদিক দিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ আবার অন্যদিক থেকে  আকিদাগত ডিবেটগুলা হাইলি পলিটিকালি ইনফ্লুয়েন্সড। 


"আকিদা" ইস্যুটি এখন আলোচনার তুঙ্গে। তা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে দু'পক্ষের মাঝে। যারা আকিদা বুঝেন তারা দলীল যুক্তি দিয়ে নিজদের অবস্থান পরিস্কার করছেন আর যারা আকিদার মত জটিল সূক্ষ তাত্বিক বিষয় বুঝেনা তারা গালাগালি করছে, এটা হাস্যকর। 

"আকিদা" বিষয়টি ফিকহী মসায়েলী ইখতেলাফের মত সাধারণ বিষয় নয়। এটা নিয়ে রক্তারক্তি হয়েছে, অনেক আলেম ভিষণ ভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। "পবিত্র কোরান সৃষ্ট কি সৃষ্ট নয়" এ একটি বিষয়ের আকিদা নিয়ে আব্বাসিয় ও উমাইয়া খেলাফত কালীন সময় মুসলিমদের মাঝে এক চরম ফিতনা-ফ্যাসাদের সৃষ্টি হয়। বিদআতিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আব্বাসী খলীফা মামুন এই মতবাদে বিশ্বাসী হওয়ায় সমগ্র মুসলিম বিশ্বে তা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে এবং যারা এ মতবাদকে গ্রহণ করতে রাজি হয় নি তাদেরকে অনেক জুলুম-নির্যাতন করে। বিরোধী মতের সকল কাজী বা বিচারকদেরকে পদচ্যুত করে। আহলুস সুন্নাহর মহান ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ. সহ অনেক আলেমের প্রতি নিষ্ঠুর অত্যাচার করে। বুঝতেই পারছেন বিষয়টি কত মারাত্মক হতে পারে!

✍️ সাম্প্রতিক আস সুন্নাহ ট্রাস্টের আহমাদুল্লাহ সাহেবদের আকিদা বিষয়ক প্রতিযোগিতাকে সাদামাটা মনে হলেও কথিত আহলে হাদীসদের উল্লাস আর সাপোর্ট দেখে বুঝে নিতে পারেন তারা নিজদের মতবাদের পক্ষে একটি দারুন প্যাকেজ পেয়েছে। এদেশে বর্তমানে আহলে হাদীসদের বড় চেহেরা ডঃআবু বকর জাকারিয়া, মতিউর রহমান মাদানী, মুজাফফর বিন মহসীনের মত কিছু মুখ। যাদের ইমেইজ ভ্যালু যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত। শায়খ আহমুদুল্লাহকে কথিত আহলে হাদীস অনুসারী গালাগালি করলেও এই আকিদা প্রতিযোগিতাকে লুপে নিয়ে প্রায় উৎসবমুখর। অস্বীকার করতে পারবেন? 

আকিদা মুসলিমদের জন্য একদিক দিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ আবার অন্যদিক থেকে  আকিদাগত ডিবেটগুলা হাইলি পলিটিকালি ইনফ্লুয়েন্সড। যেমন মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচ্যের বর্তমান শাসকেরা কাদের প্রমোট, স্পনসর করছে তা বিবেচনায় নিলে আকিদার পলিটিক্যাল দিকটা বুঝতে পারবেন।

আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের আকিদা প্রতিযোগিতা নিয়ে শায়খ আহমুদুল্লাহ সোজা সরল ব্যাখার দিলেও উক্ত প্রতিযোগিতাকে দেওবন্দী আলেম ওলামারা সাদাসিধা চোখে দেখছে না। সে কারণে  পালটা পলিটিক্স বা নিজদের আকিদা নিয়ে নতুনভাবে হাজির।

এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এদেশে হানাফি, দেওবন্দিদের আকিদার শিকড় গভীরে। বছরের পর বছর দেওবন্দিরা জামায়াত-সহ অন্যদের আকিদা নিয়া অযাচিত ব্যস্ত সময় পার করলেও কথিত মদখালী বা আহলে হাদীসেরা রিয়াল ডলারের রসদ পেয়ে এখন তারাই মূলত আকিদার প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ। 
....
এ ব্যাপারে একজন লিখেছেন

 "কথিত সালাফি অনেক আলেম সোশাল মিডিয়ার কল্যাণে দেশে জনপ্রিয় হইছেন। সালাফিদের অর্থনৈতিক গ্ল্যামার, পাওয়ারে হিস্যা, দেশের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে তাদের সরব উপস্থিতি এবং প্রচুর কওমি পোলাপানের অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ আরো নানা কারণে, এবং কওমিদের ইন্টার্নাল নৈতিক, ইন্টেলেকচুয়াল ও পলিটিকাল সঙ্কটের কারণে, দেওবন্দিরাও বরং অনেক সালাফিমুখীই হইছে গত বছরগুলাতে। ফিকহে সালাফিরা অনেক সাফল্য পাইছে, তাদের ফিকহের ফলোয়ার এখন প্রচুর। বাট, আকিদা ইস্যুটা তারা ওইভাবে সাধারণ লোকসমাজে তুলতেই পারে নাই এতদিন। এই আকিদা ইস্যু কওমিদের লাস্ট খুঁটা। এই ইস্যুতে সালাফিরা জিতা গেলে, দেশের ধর্মীয় অথরিটি আল্টিমেটলি তারাই নিয়া নিবে, এ ধরনের একটা ব্যাপার আছে। ফলে, শায়খ আহমাদুল্লাহর এই প্রতিযোগিতারে তারা নীরিহ হিশেবে না নিয়া পালটা প্রতিবাদ করছে"।

✍️আমি যতটুকু বুঝি শায়খ ডঃ আবদুল্লা জাহাঙ্গীর রহঃ এর ব্যাপারে কওমীদের বৃহৎ অংশ আগে কখনো এত শক্ত মনোভাব দেখান নাই। আকিদা প্রতিযোগিতার আড়ালে কথিত আহলে হাদীসদের প্রমোশন সন্দেহ তাদেরকে ক্ষুব্ধ করেছে। তাদের এ লজিক একেবারে উড়িয়ে দেয়ার মত নয়। তাই আমরা যারা সাধারণ পাব্লিক আছি বুঝে চিন্তে অবস্থান নেয়া ভাল। আবেগের জায়গা থেকে লাফালাফি ঠিক হবে না।

Post a Comment

0 Comments