প্রশ্নঃ
স্বামীর মন পাওয়ার জন্য কোন আমল আছে কি?
কোন আমল করলে স্বামীর ভালোবাসা পাওয়া যাবে, অন্য নারীর প্রতি আক্রিষ্ট হবে না, জানতে চাই।
উত্তরঃ
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর দোয়া করুন। দৈনিক ন্যূনতম দু'রাকা'আত সালাতুল হাজত পড়ে পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে মনের কথা খুলে বলুন। তিনি অবশ্যই কবুল করবেন।
এছাড়া বাস্তব জীবনে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো-
স্বামীকে খুশি রাখার ও শুধু নিজের করে রাখার কার্যকারী টিপসঃ-
১) স্বামীর ঘুম থেকে উঠার আগে নিজে উঠে পরিপাটি হয়ে নেওয়া যাতে স্বামী আপনাকে সকাল বেলাই অপরিপাটি না দেখে। তার সাথে সুগন্ধি ব্যবহার করুন। যাতে সকালে আপনাকে দেখেই আপনার স্বামীর মন ভরে যায়।
২) তার ঘুম যেভাবে ভাঙ্গালে সে পছন্দ করবে, সেভাবে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলুন।
৩) তার প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে তবেই অন্য কাজে যাবেন। এবং সে তার কাজে যাওয়ার সময় কপালে আর বুকে দুইটা......... দিয়ে দিন।
৪) সে কখন বাসায় আসতে পারে তা অনুমান করে পরিপাটি হয়ে থেকে তার অপেক্ষা করুন এবং সে ডাকার সাথে সাথে দরজা খুলে দিন এক মুচকি হাসি দিয়ে। এবং তার সাথে কথা বলার সময় সর্বদা হাসি মুখে কথা বলুন।
৫) তার সামনে কখনো দুর্গন্ধ নিয়ে যাবেন না। সবসময় একটা সুঘ্রাণ রাখুন নিজের শরীরে।
৬) পরিপূর্ণ পর্দা করুন।
৭) স্বামীকে তাহাজ্জুদ এবং ফজরের নামাজেযের জন্য ডেকে দিন। আল্লাহর তরফ হতে স্বামীর হৃদয়ে আপনার প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা জন্ম নিবে।
৮) স্বামীর মনে কখনো আঘাত দিয়ে কথা বলবেন না।
৯) কখনো স্বামীকে নিজের উপর রাগ হতে দিবেন না বরং স্বামী যে ইশারায় চালাতে চায় সে ইশারায় চলুন( নাফরমানীর কাজ ব্যতিত)।
১০) স্বামী কোন কাজ করতে আদেশ করলে সাথে সাথে হাসি ও খুশির সহিত কাজ করে দিন।
১১) স্বামীর কাছে থাকাকালীন তার অনুমতি ব্যতিত কোন নফল রোযার নিয়ত করবেন না। স্বামীর খেদমত অন্যান্য নফল ইবাদাত থেকেও উত্তম।
১২) পৃথিবীর কোন মানুষের গিবত না করা।
১৩) স্বামীর হুকুম ছাড়া স্বামীর মাল থেকে কাউকে দান বা হাওলাত না করা। এটা জায়েজ নেই।
১৪) স্বামীর কোন দোষের কথা পৃথিবীর কোন মানুষকে না বলা। বরং স্বামীর মাথা যখন একদম ঠান্ডা থাকবে তখন স্বামীকে হাসিমুখে বিনয়ের সহিত তার ভুল ধরিয়ে ও সুধরে দেওয়ার চেষ্টা করা।
১৫) স্বামীর কোন কাজ নিজের মতের বিরুদ্ধে হলেও তর্ক না করা।
১৬) স্বামী যা আনুক তা ১ টাকার হলেও এমন একটা ভাব করুন যেন এটা আপনার কাছে ভিষণ পছন্দ হয়েছে। এতে পুরুষেরা স্বস্তি পায়।
১৭) স্বামীর বাড়িতে যতই কষ্ট থাকুক, স্বামীর সাথে সমাধানের চেষ্টা করুন। তবে হাই হতাশা করে স্বামীকে কষ্ট দিবেন না।
১৮) স্বামীর মেজাজ বুঝে ব্যবহার। তার মুখে হাসি থাকলে আপনিও হাসুন। আর তার মন কোন কারণে খারাপ থাকলে আপনিও তার মন খারাপের ভাগিদার হোন, মন খারাপের সময় হেসে এটা প্রকাশ করবেন না যে তার মন খারাপে আপনার কিছু যায় আসে না। আর মেজাজ খারাপ থাকলে একদম চুপ থাকবেন।
১৯) স্বামী আপনাকে যে টাকা দিবে তা ১০০% তাকে হিসাব দিয়ে দিন। আপনার ওপর একটা অন্যরকম বিশ্বাস সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।
২০) শশুড়-শাশুড়ির সেবা করুন। এবং শশুড় বাড়ীর সকলকে ভালোবাসুন।
২১) স্বামীকে মনের ভুলেও কাজ করতে দিবেন না। বরং তাকে ঠিক কাচের পুতুলের মতো রাখার চেষ্টা করুন। এরপর সে আপনার কাজ দেখে নিজে থেকেই আগ্রহ করে কাজ করবে।
২২) ঘরের কাজ কারো জন্য ফেলে রাখবেন না।
২৩) স্বামী তার বাবা-মা এর কাছে টাকা দিলে তা নিয়ে মন খারাপ করবেন না। তাদের ছেলের টাকা তারা নিবে না তো কে নিবে?
২৪) স্বামী কোন সফর থেকে ফিরলে তাকে খেদমত করুন, প্রশ্ন পরে করুন।
আল্লাহ তাআলা আমল করার তৌফিক দান করুন।
আমীন!
-------------------------------
উত্তর দিয়েছেনঃ- ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
0 Comments