যেমন শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায় জামায়াতে ইসলামী:
-------------------------------------------------------
মুহতারাম আমীরে জামায়াত বলেন, "চাঁদাবাজি-দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আমাদের ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ চলবে। যুদ্ধ কতক্ষণ? যতক্ষণ না রাষ্ট্র ও সমাজে ইনসাফ কায়েম হয়। এই ইনসাফ দিয়ে পারে একমাত্র আল কুরআন।"
কুরআনুল কারীম বলছে,
إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ.
নিশ্চয় আল্লাহ তা'য়ালা ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। (সূরা নাহল ১৬/৯০)
আমীরে জামায়াত আরো বলেন, "কুরআনের শাসনের আলোকে আমরা দেশ গড়তে চাই।" মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেন,
إِنَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ لِتَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ بِمَا أَرَاكَ اللَّهُ.
(হে নবী) নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি যথাযথভাবে কিতাব (আল কুরআন) নাযিল করেছি, যাতে তুমি মানুষের মধ্যে শাসনকার্য পরিচালনা কর সে অনুযায়ী যা আল্লাহ তোমাকে দেখিয়েছেন। (সূরা নিসা ৪/১০৫)
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,
وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ أَنْ يَفْتِنُوكَ عَنْ بَعْضِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْكَ ۖ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُصِيبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ ۗ وَإِنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ لَفَاسِقُونَ. أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ ۚ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ حُكْمًا لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ.
আল্লাহ (কুরআনে) যা নাযিল করেছেন সেই বিধান অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা করো এবং তাদের প্রবৃত্তির (অর্থাৎ মানব রচিত মতবাদের) অনুসরণ করো না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক যাতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করতে না পারে। অতঃপর যদি তারা (আল্লাহর বিধান থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রাখ যে, আল্লাহ তো কেবল তাদেরকে তাদের কতিপয় পাপের কারণেই (জাহান্নামের) আযাব দিতে চান। আর মানুষের অনেকেই ফাসিক। তবে কি তারা জাহিলিয়্যাতের বিধান কামনা করে, আর নিশ্চিত বিশ্বাসী (মুমিন) জাতির জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক উত্তম? (সূরা মায়িদা ৫/৪৯-৫০)
পবিত্র কুরআনে আরো বলা হয়েছে,
وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ.. الظَّالِمُونَ.. الْفَاسِقُونَ.
আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে যারা শাসনকার্য পরিচালনা করে না তারাই কাফির, জালিম এবং ফাসিক। (সূরা মায়িদা ৫/৪৪, ৪৫, ৪৭)
অতএব, জুলুম, নির্যাতন, দুঃশাসন ও দুর্নীতি মুক্ত এবং ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে কুরআনের বিকল্প নেই। আসুন, কুরআনের শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে জামায়াতকে সাপোর্ট ও সহযোগিতা করি।
0 Comments